হীরালাল সেন

হীরালাল সেন:

প্রাথমিক পরিচয়ঃ

হীরালাল সেন ভারতীয় চালচিত্রের ইতিহাসের এক অনন্য নাম। তাকে উপমহাদেশের চলচিত্রের জনকও বলা হয়। তার হাত ধরে ভারতীয় উপমহাদেশে চলচিত্রের এক নতুন দিগন্ত রচিত হয়। তিনিই প্রথম বিজ্ঞাপন বিষয়ক চলচিত্র নির্মাণ করেন। ভারতের প্রথম রাজনীতি বিষয়ক চলচ্চিত্র তার হাতেই সূচনা হয়।

 

জন্ম ও বংশ পরিচয়ঃ

বিখ্যাত চলচ্চিতকার হীরালাল সেন১৮৬৬ সালে তৎকালীন ঢাকা জেলার (বর্তমান  মানিকগঞ্জ) মহকুমার বগজুরি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তবে তার জন্ম তারিখ নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। হীরালাল সেন এর বাবার নাম চন্দ্রমোহন সেন ও  মায়ের নাম বিধুমুখী। হীরালাল সেন এর পারিবারিক বংশ ছিল মুনশী।

 

পরিবার পরিচিতিঃ

হীরালাল সেন ছিলেন মানিকগঞ্জের এক নামকরা শিক্ষিত পরিবারের সন্তান । তার পূর্ব পুরুষের নাম ছিল বাঞ্ছারাম মুনশি ।  বাঞ্ছারাম মুনশির ছিল দুই ছেলে শ্রিকন্ঠ ও উগ্রন্ঠ মুনশি । শ্রিকণ্ঠ মুনশির ছেলের নাম গোকুল মুনশি । গোকুল মুনশি ছিল চার সন্তান দীনলাল সেন, চন্দ্রমোহন সেন, শ্রিমোহন সেন, ও পলতারু দেবী। গোকুল মুনশির চার সন্তানের মধ্যে দীনলাল সেন বেশি পরিচিতি লাভ করেন। তিনি এক সময় ত্রিপুরার মহারাজার মন্ত্রী ছিলেন। ১৮৯৮ সালে দীনলাল সেন মারা যান।

হীরালাল সেন এর বাবা চন্দ্রমোহন সেন ছিলেন ঢাকা জর্জ কোর্টের উকিল। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা ছেড়ে কলকাতায় চলেযান এবং কলকাতায় আবার উকালিতি ব্যবসা শুরু করেন। হীরালাল সেনের মা ছিল গৃহিন । বিখ্যাত ইতিহাস বিদ ডঃ দীনেশ চদ্র সেন হীরালাল সেন এর ফুফাত ভাই। হীরালাল সেনের ফুফুর নাম ছিল পলতারু দেবী ।ডঃ দীনেশ চন্দ্র সেন হীরালাল সেনের বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। হীরালাল সেন ছিল ডঃ দীনেশ চন্দ্র সেন এর ২ বছরের ছোট । তিনি হীরালাল সেনের বাড়িতে পড়ালেখা করেন। চন্দ্রমোহন সেন ও বিষুমূয়ী ছিল ৮ সন্তানের জনক। তবে তাদের মধ্যে ৫ জনের নাম জানা যায় । তারা হলেন সুন্দরী দেবী, হীরালাল সেনের,দেববাসী লাল সেন, মতিলাল সেন ও সোরজিনী দেবী ।

 

 

 

শৈশব কালঃ

হীরালাল সেনের শৈশব কালে ছিলেন গ্রামের বাড়িতে। যেখানে তিনি সারা দিন খেলাধুলা করতেন । মোট কথা তিনি শৈশব কালে কাটিয়েছেন গ্রামের ৮/১০ টি ছেলের মত। যেখানে কোন ভেদাবেদ ছিলনা। সবাই মিলে নদীতে সাতার কাটতেন, গাছে উঠতেন ও মাটি দিয়ে খেলা করতেন। তবে তিনি খেলেধুলার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকতেন। হীরালাল সেনের শৈশব কালে সাথী ছিল তার ফুফাত ভাই ডঃ দীনেশ চন্দ্র সেন।

 

শিক্ষা জীবনঃ

হীরালাল সেনের শিক্ষা জীবন শুরু হয় মানিকগঞ্জের বগজুরি গ্রাম থেকে। হীরালাল সেনের পরিবারের সবাই ছিলেন শিক্ষিত। তাই তিনি প্রথম অবস্থাই পরিবারের কাছ থেকেই শিক্ষা লাভ করেন । হীরালাল সেন ও ডঃ দীনেশ চন্দ্র সেন ছিলেন প্রায় সহপাঠী । তাদের ফারসি ভাষা শিখানোর জন্য একজন মৌলভী রাখা হয়। তার কাছে ফারসি ভাষা শিখেন। ধারনা করা যায় হীরালাল সেনের মানিকগঞ্জের মাইনর স্কুলে পড়ালেখা করেছেন। এরপর হীরালাল সেন ভর্তি হন কলেজিয়েট স্কুলে ১৮৯৫-১৮৯৬ সালের দিকে। তার বাবা সহ সকল পরিবার কলকাতায় চলে যাওয়ার ফলে তিনি সেখানে একটি কলেজে আই, এস, সি তে ভর্তি হন। পড়ালেখার প্রতি তার আগ্রহ ছিল কম। কলেজে পড়া অবস্থাই তিনি চলচ্চিতের প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েন। এখানে তিনি পড়ালেখার ইতি টানেন।

 

সংসার জীবনঃ

হীরালাল সেন সম্ভবত ১৯০০ সালের কাছাকাছি সময়ে বিয়ে করেন। হীরালাল সেনের ঘরে আসে তিন সন্তান। তবে এ নিয়ে বিতর্ক আছে। ১৯০২ সালে জন্ম গ্রহণ করে ১ম সন্তান বৈদ্যনাথ সেন।  তার ৩য় সন্তানের নাম ছিল প্রতিভা সেন।

 

চলচ্চিত্রের সুচনাঃ

হীরালাল সেন ছাত্র অবস্থাই চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন। এক সময় ১৯০০ সালে ফরাসি (পায়) কম্পানি ভারতীয় উপমহাদেশে রাজাদের রাজ্যর, হাতি, ঘোড়া, উট , ইত্যাদি শোভ হীরালাল সহ হীরালাল শোভাযাত্রা , সাপের খেলনাসহ বিভিন্ন ধরনের খেলনা ছবি তুলি ইউরোপ, আমেরিকায় দেখাত। আর এর জন্য এদেশে কিছু ক্যামেরাম্যান আসে ছবি তুলার জন্য। তিনি তাদের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক করলেন । এবং তাদের কাছ থেকে ক্যামেরা চালানু শিখেনেন।

 

কর্ম জীবনঃ

হীরালাল সেনের কর্ম জীবন শুরু হয় চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। আই, এস, সি পড়ার সময় তিনি পড়ালেখা বাদ দিয়ে চলচ্চিত্রের পেশাই যোগদেন। ১৮৯৮ সালে হীরালাল সেন ও তার ভাই মতিলাল সেন রয়েল বায়োস্কোপ কোম্পনি। এরপর শুরু করে দেন বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী । ১৮৯৯ সালে মিনারভা রঙ্গমঞ্চ ভাড়া করে একটি প্রদর্শনী করে যা অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এই সব প্রদর্শনীতে সাফল্য অর্জন করার পর তিনি চিত্র নির্মাণের চিন্তা শুরু করেন। কিন্তু তার নিজের কোন ক্যামেরা ছিলনা। প্যাথে ফ্রেবিজা ও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ক্যামেরা ভাড়া নিয়ে অনেক ধরনের ছবি তোলা শুরু করেন। কিছু দিন পর নিজেই ক্যামেরা কেনার চিন্তা করেন। ১৯০০ সালে রয়েল বায়স্কোপ কোম্পানি লন্ডন ওয়ারউইক ট্রেডিং কোম্পানি থেকে ক্যামেরা প্রজেক্টিং মেশিন ও বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি করে। হীরালাল সেন এরপর থেকে শুরু করে নিজের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা ও চলচ্চিত্র নির্মাণ। আস্তে আস্তে হীরালাল সেন এর সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। নিজের ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবির প্রদর্শনীতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেন।

 

১৯০১ সালে ৯ ই ফেব্রুয়ারি ক্লাসিক থিয়েতার চিত্রায়িত করেন কিছু বাংলা নাটকের বিশেষ বিশেষ দৃশ্য । এর মধ্য ছিল আলী বাবা, যীতারাম , হরিপদ ,ভ্রমর , সরলা, দোলযাত্রা, বন্ধু ইত্যাদি।১৯০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর  তিনি ব্যবসায়িক ভাবে চিত্র প্রদর্শনী শুরু করে। তার প্রদর্শনী দেখার জন্য আসেন প্রধান বিচারপতি স্যার উইলিয়াম ম্যাকমিলান। হীরালাল সেন তার নিজ গ্রামে বগজুরিতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। তিনি তার বাড়ির কাদের নাট মন্দিরে ১৯০২ থেকে ১৯০৫ সালে পর্যন্ত তিনি প্রদর্শনী চালু রাখেন। ১৯০০ সালে ২ ফেব্রুয়ারি  তার প্রতিষ্টিত রয়েল বায়স্কোপ কোম্পানি কলকাতার বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির বাসভবনে প্রদর্শনী করেন । তিনি একই সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জে এবং উড়িষ্যা উত্তর প্রদেশে ও বিহারে বিভিন্ন স্থানে বায়স্কোপ প্রদর্শন করেন। ১৮৯০ সালে ৪ এপ্রিল হীরালাল সেন তার ছোট ভাই মতিলাল সেন ও দোকিলাল সেন এবং তার বোনের ছেলে ডোলনাথ সেন কে নিয়ে ‘’ দি রয়েল বায়োস্কোপ কোম্পানি ব্যানারে ১ম চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। ১৮৯০ সালে তিনি তার নিজ গ্রামে বগজুরিতে প্রতিষ্টা করেন ফটোগ্রাফি প্রতিষ্টান। অমরাবতী ফাইন আর্টস এসোসিয়েশন এবং এইচ,এল সেন এ্যান্ড ব্রাদার্স। বাংলা ১৩০৯ সালে ২৬-২৭ ফাল্গুন ১৯০২ সালে তিনি শরীয়তপুর জেলার পালং  থানায় ( শরীয়তপুর সদর )বয়স্কোপ প্রদর্শনী করেন।(তিনি যখন ঢাকার কলেজিয়েট স্কুলে পড়তেন তখনই তিনি ফটোগ্রাফির প্রতি আকৃষ্ট হন।

শেষ জীবনঃ

হীরালাল সেন এর শেষ জীবন কেটেছে খুব কষ্টে। জীবনের শেষ সময়ে তাকে অনেক কঠিন পরিস্তিতির মোকাবেলা করতে হয়েছে । ১৯০৫ সালের পর থেকে তার চলচ্চিত্র জীবনের পতন শুরু হয়। আস্তে আস্তে দেশে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্টান হতে থাকে। এতে চলচ্চিত্রের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এছাড়াও সে সময় দেশ বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের নামকরা চলচ্চিত্র আমদানি শুরু হয়। এতে সাধারন  জনগণ দেশিয় খণ্ড খণ্ড চিত্রের প্রতি আগ্রহ হঁড়িয়ে ফেলে। বিদেশী চলচ্চিত্রের আমদানির ফলে তার জীবনের সব সাধনা আস্তে আস্তে ভেস্তে যায়।

 

হীরালাল সেনের তিন ভাই মিলে চলচ্চিত ব্যবসা করতেন। একসময় তার ভাই চলচ্চিত্র ছেড়ে দিয়ে চাকরী ধরেন। সাথে থাকেন মতিলাল সেন। কিন্তু দঃখের বিষয় এক সময় হীরালাল সেন ও মতিলাল সেনের মধ্য চরম দন্ধ শুরু হয়। এরপর হীরালাল সেন তার প্রতিপক্ষ রয়েল বায়োস্কোপ কোম্পানি ত্যাগ করেন। হীরালাল সেন তার ভাগ্নে কুমার সংকর গুপ্তকে ও চলচ্চিত্র এনেদেয়েছিলেন। কুমার সংকর গুপ্ত ও  চলচ্চিত্র সম্পর্কে শিক্ষা নেন হীরালাল সেনের কাছ থেকে। কিন্তু এক সময় তার ভগ্নে ও তাকে ছেড়ে অন্য কোম্পানিতে  চলে যান । হীরালাল সেনের ও মতিলাল সেন এর দন্ধ হয় ১৯১৩ সালে। এর পর হীরালাল সেন এইচ,এল সেন কোম্পানিতে কাজ করেন। পরে তিনি এই কোম্পানি ছেড়ে তার ভাগ্নের প্রতিষ্টিত লন্ডন বায়োস্কোপ কোম্পানিতে যোগদান করেন।

 

১৯১৩ সালের কোন এক সময়ে হীরালাল সেনের জীবনে ঘটে সবচেয়ে বড় এক দুঃখজনক ঘটনা । হীরালাল সেনের নির্মিত সব চলচ্চিত্র ও নথিপত্র ছিল তার ভাই মতিলাল সেন এর বাসায়। হঠাৎ করে একদিন মতিলাল সেন এর বাসায় আগুন  লেগে  যায়। এতে হীরালাল সেনের নির্মিত সব চলচ্চিত্র ও নথিপত আগুনে পুড়ে যায়। মতিলাল সেন এর কন্যা ও আগুনে পুড়ে মারা যায়। তখন শুরু হয় হীরালাল সেনের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় । একদিকে পারিবারিক দন্ধ অন্যদিকে তার নির্মিত সব কিছু হারানোর বেধনা । আর্থিক অভাবের ফলে তার ক্যামেরা ও সকল যন্ত্রপাতি এবং হাতের আংটি মালিকের কাছে বন্ধক রাখেন। পরবর্তীতে অনাদি বসু এ গুলি মালিকের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেন। বিখ্যাত ক্যামেরাম্যান দেবী ঘোষ ক্যামেরা গুলো মেরামত করে নিজে ব্যবহার করেন।

 

উপমহাদেশের বিজ্ঞাপনের জনকঃ

মতিলাল সেনকে উপমহাদেশের বিজ্ঞাপনের জনক বলা হয়। তার আগে কেউ ভরতে বিজ্ঞাপন চিত্র তৈরি করেনি। ১৯০৩ সালে তিনি বিজ্ঞাপন চিত্র তৈরি করেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনের তৈরি করেন, তার মধ্য উল্লেখ্যযোগ্য হলঃ বটফেষ্ট পালের ‘এডওয়ার্স টনিক’ সি কে সেনের মাথার তেল জবাকুসুম ও ডব্লিউ মেজর কোম্পানির ‘ সালমা পিলা’ এ বিজ্ঞাপন গুলো হয়েছিল রয়েল বায়োস্কোপ কোম্পানি থেকে।

 

উপমহাদেশের প্রথম রাজনৈতিক চলচ্চিত্রের নির্মাণঃ

১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন। এই সালের ৭ ই আগষ্ট রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় বিশাল প্রতিবাদ সভার ডাক দেন। হীরালাল সেন এই সভার ভিডিও করেন। এছাড়া রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় বিশাল প্রতিবাদ সভায় মিছিল হয়েছিল তারও তুলেছেন তিনি। ১৯০৫ সালে ২৫শে নভেম্বর রাত্র ৯ টায় কলকাতায় থিয়েটার হলে এই চিত্রের প্রদর্শনী করা হয়েছে। এই প্রদর্শনীতে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। এছড়া তার সাথে আরও এসেছিলেন ময়মনসিংহের মহারাজা ‘ সূর্য কান্ত আচার্য চৌধরী, নাটকের রাজা জগদীন্দ্র নাথ রায় সহ অনেক বিখ্যাত লোকজন। রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রদর্শনী দেখে খুবই প্রশংসা করেছিলেন। এমনকি তিনি হীরালাল সেনের পায়ের ধুলো মাথায় তুলে নিয়েছিলেন।

 

হীরালাল সেনের চলচ্চিত্রঃ

হীরালাল সেন কত গুলো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি । তবে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় তার নির্মিত চলচ্চিত্র কম বেশি ৪০ টির মত হবে। তবে বিভিন্ন উসৎ থেকে বিভিন্ন ধরনের মতবাদ রয়েছে। বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হীরালাল সেনের জীবনী গ্রন্থ চলচ্চিত্র গবেষকদের একটি একটি তালিকা হুবুহুব দেয়া হল।

 

মৃতুঃ

হীরালাল সেন নানা প্রতিকূলতার মধ্য আস্তে আস্তে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৯১৭ সালে তার শরীরে ধরা পড়ে দুরারোগ ক্যান্সার। অবশেষে তিনি ঐ সালের অক্টোবর মাসে ক্যান্সারের সাথে লড়ে মৃত্যুবরণ করেন। শেষ হলো চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জল নক্ষত্রের অধ্যায়।

বাংলাকোষে লিখুন, আয় করুন... [email protected] 
বিঃদ্রঃ বাংলাকোষ কোনো সংবাদপত্র নয়, এটি মূলত একটি আর্কাইভ। বাংলাকোষ এ প্রকাশিত সকল তথ্য কপিরাইট এর অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং কোনো পূর্বানুমতি ছাড়া বাংলাকোষের কোনো তথ্য ব্যবহার করা যাবে না। তবে অব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো সূত্রসহ ব্যবহার করতে পারবে।