ইশরাত জাহান আনিকা
যেকোনো সময় বা মুহুর্তকে মুঠোবন্দী করে রাখতে আমরা এখন ব্যবহার করি ক্যামেরা। এই একটি জিনিস ছাড়া হয়তো এখন আমরা কোনো অনুষ্ঠান, আড্ডা, ট্যুর, জন্মদিন কল্পনা করতে পারবো না। শুধুমাত্র আমোদ প্রমোদের জন্য না, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা থেকে শুরু করে দেশের যেকোনো স্থানে যেকোনো ঘটনা ঘটলে সবার আগে আমাদের দরকার হয় ক্যামেরা। ক্যামেরা দিয়ে আমরা এইমাত্র ঘটে যাওয়া ঘটনাটি ধরে রাখতে পারি, প্রমাণ করতে পারি ঘটনার সত্যতা। কিন্তু কখনো কি মনে প্রশ্ন এসেছে কিভাবে এলো এই ক্যামেরা? বা ঠিক কবে থেকে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা শুরু হলো? আর প্রথম আবিষ্কৃত ক্যামেরাটিই বা কেমন ছিল?
ক্যামেরার জগতে প্রথম ক্যামেরা হলো অবসিকিউরা বা পিনহোল ক্যামেরা। এই ক্যামেরা প্রথম কে আবিষ্কার করেন তা নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। তবে মনে করা হয় খ্রিস্টের জন্মের প্রায় চারশো বছর আগে চীনা দার্শনিক মজি এই ক্যামেরা তৈরি করেন। এবং পরবর্তীতে আরও কয়েকজন দার্শনিক এই ক্যামেরার রূপরেখা ঠিকঠাক করেন। যদিও এই পিনহোল ক্যামেরা দিয়ে সরাসরি কোনো কিছুর ছবি তোলা যেতো না। অন্ধকার দেয়ালে উল্টো প্রতিবিম্ব উঠতো। এবং সেটি দেখে ছবি একে নিতে হতো। কিন্তু পুরো ছবিটিই থাকতো উল্টো। উক্তি
এরপর ১৭২৪ সালে জোহান হেনরিচ আলোর সংস্পর্শে সিলভার নাইট্রেটের
বিক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে ধাতব পাতে ছবির ছাপ নেয়ার পদ্ধতি আবিষ্কার করে ফেলেন। এই পদ্ধতিকে আরো উন্নত করে ১৮২৬ সালে জোসেফ নিৎসে প্রথম কোনো ছবি তুলতে সক্ষন হোন। এই পদ্ধতিকে হেলিওগ্রাফি পদ্ধতি বলা হয়। নিচের ছবিটি হেলিওগ্রাফি পদ্ধতিতে তোলা হয়েছিল।
নিৎসের মৃত্যুর পর তার সহকারী লুইস ডি গুয়েরো তার কাজটি আরো এগিয়ে নিয়ে যান এবং ১৮৩৯ সালে তৈরি করে ফেলেন ডি গুয়েরো টাইপ ক্যামেরা। নিচের দেয়া ছবিটি ডি গুয়েরো ক্যামেরায় তোলা প্রথম ছবি যা কিনা পুরো বিশ্বে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল এবং এই ছবিটি তুলতে সময় লেগেছিল প্রায় সাত মিনিট।
আর রবার্ট কার্নেলিয়াস হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি এই ডি গুয়েরো ক্যামেরা দিয়ে সর্বপ্রথম নিজের ছবি বা সেলফি তুলেছিলেন। ছড়া কবিতা