১৮৬৭ সালে ৭ ই নভেম্বর ওযরশতে জন্ম গ্রহন করেন। বাবা ক্লোদোভস্কা ছিলেন কৃষক পরিবারের সন্তান। কিন্তু তার নিজের চেষ্টায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে তিনি হাই স্কুলের পদার্থ বিদ্যার অধ্যাপক হয়। মেরির মা ছিলেন একটি মেয়েদের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। এছাড়া খুব ভালো পিয়ানো বাজাতেন। চার বোনের মধ্য মেরী ছিলেন ছোট।
তিনি ছিলেন পড়াশোনায় খুব মনযোগী। স্কুলের পরীক্ষায় তিনি ভালো রেজাল্টের জন্য স্বর্ণ পদক পায়। তার ইচ্ছা ছিল ওযরশ বিশ্ব বিদালয় থেকে তিনি বিজ্ঞান নিয়ে পরাশোনা করবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তার অনুরোধ অবজ্ঞা করেন। মেরির বড় বোন তার এক অধ্যাপকে বিয়ে করেন। তারা মেরিকে আমন্ত্রন জানায় প্যারিসে। বোনের বাড়িতে সারাদিন গান বাজনা বন্ধুদের সাথে আসা যাওয়া।
শিক্ষকেরা মেরীর কল্পনা শক্তি উদ্যামান ও দক্ষতা দেখে অত্যান্ত আনন্দের সাথে তাকে নতুন নতুন গভেষনার জন্য উৎসাহিত করতেন। তিনি বিষবিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞান ও অঙ্কে প্রথম স্থান অধিকার করেন। একদিন পরিচয় হয় পিয়ের কুরীর সঙ্গে। তিনি ছিলেন পদার্থের অধ্যাপক। তারা দুজন বিজ্ঞান নিয়ে কথা শুরু করছিল। এবং তার অজান্তেই দু জন বন্ধু হয়ে যায়। পিয়ের কুরিকে তার গভেষোয়ান্র জন্য যোগ দিতে বলে। পিয়ের তখন চুম্বক নিয়ে কাজ করছেন। ১৮৯৪ সালে মেরী তখন তার সাথে কাজ করতে শুরু করেন। পরের বছর তারা দুজন বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হয়। ১৮৯৭ সালে তাদের প্রথম সন্তান আইরিনের জন্ম হয়।
দিন মুজরের মত খাটতেন তার দু জন। শেষ পর্যন্ত তারা দু জন জয়ী হলেন তাদের কাজে। এক্টির পরিবর্তে দুটি নতুন মৌল পদার্থের আবিষ্কার করেন। তারা মূলত একটি ডক্টেরট ডিগ্রী পাওয়ার জন্য এই গভেশনা করেছিল। কিন্তু পথের শেষে তার পেল পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পুরস্কার।
১৯০৪ সালে কুরীকে সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিযুক্ত করেন। গভেষোণার ভারপ্রাপ্ত করা হল কুরীকে। কুরীর দম্পত্তির সুদীর্ঘ দিনের স্বপ্ন অবশেষে সফল হল। ফ্রান্সের সরকার পক্ষ থেকে একটি সম্পূর্ণ আধুনিক ল্যাবরেটরী তৈরি করেন। এর মধ্য মেরী দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের মা হলেন। মেয়ের নাম রাখেন ইভ।
কুরী একদিন বিশবিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেয় টিপটিপ বৃষ্টিতে বিজে তিনি এক প্রকাশকের কাছে যাচ্ছিলেন কিন্তু পিচ্ছিল পথে হঠাৎ পা পিচ্ছিলে পড়ে গেলেন। পিছন থেকে একটি মালবাহী গাড়ি এসে ধাক্কা দিলে রক্কত্ত অবস্থায় তিওনি এখানেই মারা যায়। এই মৃতুতে ভেঙ্গে পড়ে মেরী।
মেরী কে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা হিসেবে নিযুক্ত করেন এবং গভেষোণার সকল দায়িত্ব তার উপর অরপন করেন। তার পর তিনি রেডিয়াম ক্লোরাইডকে তড়িৎ বিশ্লেশন করেন। সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ রেডিয়াম নিষ্কাশন করেন। এই অসাধারণ উদ্ভাবনের জন্য তিনি ১৯১১ সালে নোবেল পুরস্কার কর্তৃপক্ষ তাকে রসায়নের জন্য নোবেল পুরস্কার প্রদান করেন। পৃথিবীতে তিনি একমাত্র মহিলা যে দুই বার এই পুরস্কার পেয়েছেন, ১৯৩৪ সালে ৪ জুলাই তিনি মারা যায়।